এবার মিরপুরে টেস্ট শুরুর আগে এক রকম হুঙ্কার দিয়ে রেখেছিলো আফগানিস্তান। দলটির অধিনায়ক সাংবাদিক সম্মেলনে এসে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে তাঁর দল। কিন্তু ঢাকা টেস্টে লড়াইও করতে পারেনি টেস্টে ক্রিকেটের নবাগত দলটি। সিরিজের একমাত্র টেস্ট আফগানরা হেরেছে ৫৪৬ রানের রেকর্ড ব্যবধানে।
এদিকে টেস্ট ক্রিকেটে নবীন আফগানিস্তান প্রথম দেখায় বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয় ২০১৯ সালে। ফলে সমর্থকদের ধারণা ছিলো কঠিন হতে যাচ্ছে মিরপুর টেস্ট। কারণ দারুন পরিসংখ্যান পক্ষে রেখে ঢাকায় পা রেখেছিলো আফগানরা। ঢাকা টেস্টের আগে ছয় টেস্টের মধ্যে তিনটি জয় পায় তাঁরা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে আফগানিস্তান করে ১৪৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৬ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে ৪২৫ রান তুলে। ফলে চতুর্থ ইনিংসে আফগানদের সামনে দাঁড়ায় ৬৬২ রানের বিরাট লক্ষ্য। দুই দিন হাতে থাকার পরও, আফগানিস্তান গুটিয়ে যায় মাত্র ১১৫ রানে।
আজ ম্যাচ শেষে আফগানিস্তান অধিনায়ক বলেন, 'টেস্টের শুরু থেকেই আমরা ভালো খেলতে পারিনি। তবে আমাদের কিছু ইতিবাচক দিক আছে। নিজাত সত্যিই ভালো করেছে। কিন্তু ব্যাপারটা হলো আমরা টেস্ট ক্রিকেটে দীর্ঘ বিরতির পর খেলেছি। আমরা আমরা যত খেলব, টেস্ট ক্রিকেটে ততই উন্নতি করব।'
এদিকে দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের পেস ত্রয়ী, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলামদের গতির উত্তাপ সামলাতে পারেনি আফগানিস্তান। অথচ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আফগান দলনায়ক দৃঢ় কন্ঠে বলেছিলেন, সবুজ উইকেটে খেলতে প্রস্তুত আফগানিস্তান। এছাড়া স্বাগতিকদের দাপটের মধ্যে, গর্ব আর সম্মানের জন্য লড়াই করার কথা বলেছিলো সফরকারী দলের কোচ জোনাথন ট্রট। সেটাও সম্ভব হয়নি দলটির
মিরপুর টেস্ট ৫৪৬ রানে হেরে ব্যবধানে লজ্জার নজির গড়লো আফগানিস্তান। ১৯৩৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫৩০ রানে হারিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া, টেস্ট ইতিহাসের ৮৯ বছরের পুরোনো রেকর্ড সামনে আনলো এবার আফগানরা। এছাড়া রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছিলো দেড় যুগ আগে। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২৬ রানের ব্যবধানে জিতেছিলো বাংলাদেশ।